May 29, 2024, 1:53 pm

সংবাদ শিরোনাম
রংপুর সিটির তিন মাথায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, ইউপি চেয়ারম্যান ও ভবন মালিকের যোগসাজসে গোপনে লাশ দাফন আদমদীঘির ধান শরিয়তপুরে উদ্ধার; গ্রেপ্তার-২ অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৬ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকা হতে গাঁজা ও বিদেশী পিস্তলসহ কুখ্যাত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী সাগর’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় চালকের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকুলের সতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত কুড়িগ্রামে বেবী তরমুজের চাষে তিন মাসে আয় দেড় লাখ টাকা মাঝরাত্রে প্রবাসীর ঘরে ঢুকে স্ত্রীও মা কে ছুরি মেরে পালালো দুর্বৃত্তরা বগুড়ার শিবগঞ্জে জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: এমদাদুল আহবায়ক রবি সদস্য সচিব গাইবান্ধা প্রেসক্লাব’র কমিটি গঠিত

আবারও নির্বাচন ছাড়াই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করবে সরকার

অং মারমা,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ 

প্রতিকি ছবি

দলীয় লোক মনোনয়ন দিয়ে আবারও নির্বাচন ছাড়াই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। যদিও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি।দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে এরই মধ্যে ৬১টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদে নির্বাচন দেয়া হয়নি।দফায় দফায় দলীয় লোক দিয়ে পরিষদ তিনটি পুনর্গঠন করে আসছে ক্ষমতাসীনরা। এর আগে সর্বশেষ পরিষদ তিনটি পুনর্গঠন করা হয় ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ। আর তিনটির প্রথম ও শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।এদিকে পুনর্গঠন হতে যাওয়া পরিষদ তিনটিতে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে শুরু হয়েছে জোরালো মনোনয়ন দৌড়। লবিং-তদবিরে মরিয়া ক্ষমতাসীন দলের নিজ নিজ জেলার নেতাকর্মীরা। দৌড়ঝাঁপে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। আবারও মনোনয়ন পেতে তদবিরে রয়েছেন তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান-সদস্যরাও। বর্তমান চেয়ারম্যানরা হলেন- রাঙ্গামাটিতে বৃষ কেতু চাকমা, খাগড়াছড়িতে কংজুরী চৌধুরী ও বান্দরবানে ক্যশৈ হ্লা মারমা।রাঙ্গামাটিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ছাড়াও সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চিংকিউ রোয়াজা ও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।স্থানীয় বিশিষ্টজনদের অনেকে বলছেন, পার্বত্য জেলার উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পার্বত্য জেলা পরিষদ। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্য নির্বাচনের আইনবিধি থাকলেও তা উপেক্ষা করে দলীয় লোক মনোনয়ন দিয়ে পরিষদ তিনটি পরিচালনা করে আসছে সরকার। এতে পরিষদ তিনটি পরিণত হয়েছে দলীয় প্রতিষ্ঠানে। আর প্রতিনিধিত্বের সুবিধাবঞ্চিত জনগণ। এ অবস্থার মধ্যে সর্বশেষ ২০১৪ সালের অক্টোবরে আইন সংশোধন করে একজন চেয়ারম্যানসহ ৫ থেকে ১৫ সদস্যে উন্নীত করে পরিষদ তিনটির কলেবর বাড়ায় সরকার। একই ধারাবাহিকতায় আবারও পুনর্গঠন নিয়ে প্রক্রিয়া চলছে, যেখানে বরাবরই বঞ্চিত থেকে যাবে স্থানীয় জনগণ।এদিকে প্রবর্তনের পর গত ৩০ বছর ধরে কোনো নির্বাচন নেই পার্বত্য জেলা পরিষদ তিনটিতে। প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না হওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। আইনে সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে তালিকাভুক্ত ভোটারদের দিয়ে প্রত্যক্ষ ভোটে এ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন হওয়ার কথা। অথচ সরকার নিজেদের দলীয় লোক মনোনয়ন দিয়ে পুনর্গঠন করে আসছে এ তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের মোট ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১ জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে গত ৩০ বছরে নির্বাচন দেয়া হয়নি।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১ মে ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর